
সপ্তাহের ছুটির দিন মানেই এখন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচপীর এলাকায় তিস্তার বুকে নির্মিত মাওলানা ভাসানী সেতুতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। শনিবার (ছয় সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে সেতু ও আশপাশের এলাকা রীতিমতো পরিণত হয় বিনোদনপ্রেমীদের মিলনমেলায়।
প্রচণ্ড রোদ কিংবা দীর্ঘ যানজট-কোনো কিছুই আটকাতে পারেনি মানুষকে। পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব সবাই মিলে সেতুর ওপরে দাঁড়িয়ে নদীর শীতল বাতাস আর অপার সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন। দর্শনার্থী খোকন জানান, মাওলানা ভাসানী সেতুর দুই প্রান্তেই মানুষের ঢল। যারা আসছেন, সবাই একটুখানি স্বস্তি খুঁজতেই এসেছেন এখানে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবু বক্কর বলেন, এখন সবার গন্তব্য মাওলানা ভাসানী সেতুই। তাই এলাকায় লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট।
দর্শনার্থীদের ভিড়কে ঘিরে আশপাশে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী খাবারের দোকান। চটপটি, ফুচকা, আইসক্রিম থেকে শুরু করে নানা ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। কেউ আবার নৌকা কিংবা ট্রলার ভাড়া করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিস্তার ঢেউয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। দর্শনার্থীরা কেউ সেতুর মাঝখানে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছেন, কেউ পরিবার নিয়ে নৌকা ভ্রমণে মেতে উঠেছেন। আবার অনেক তরুণ-তরুণী স্পিডবোটে চড়ে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা অর্জন করছেন। এক কথায়-এ যেন আনন্দ আর উৎসবের মিলনমেলা।
আরো পড়ুন:র্যাবের অভিযানে কোটি টাকার কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার, ৩ জন গ্রেফতার
সেতুর পাশে দাঁড়িয়ে ফুচকা খেতে খেতে দর্শনার্থী তানিয়া বলেন, বন্ধুদের নিয়ে এখানে এসে অনেক মজা করছি। সেলফি তোলা, নদীর হাওয়া খাওয়া আর ফুচকা খাওয়ার আনন্দ-সব একসঙ্গে পাচ্ছি।
আনন্দ-উৎসবের পাশাপাশি সচেতন মহল মনে করছে, সেতু ও নদীপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নৌযাত্রার নিয়মকানুন মেনে চলা সবার জন্য জরুরি।
আসলেই সুন্দরগঞ্জের তিস্তা নদীর বুকে নির্মিত মাওলানা ভাসানী সেতুটি গাইবান্ধা ও আশপাশের জেলার মানুষের জন্য এক নতুন পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে শুক্র ও শনিবারে এখানে উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসা থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণীদের জন্যও এটি এখন সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিনোদনকেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
আরো পড়ুন: গাইবান্ধায় মাদকদ্রব্য সেবনে তিন যুবকের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড