
লালপুর (নাটোর), ১৪ সেপ্টেম্বর: নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর প্রধান ডাকঘরের ভবনে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। যে কোন সময়ে ভবনটি ধসে প্রাণহানির ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে। জরাজীর্ণ ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় বেহাল দশায় পড়ে আছে। আর ভবনটি ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তার খসে পড়ায় বর্ষাকালে একটু বৃষ্টিতেই ছাদ চুয়ে পানি ভবনের ভিতরে পড়ে মূল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির পানি থেকে মূল্যবান কাগজপত্র রক্ষার্থে পলি দিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক দুই অভিযানে ১৭৪ কেজি গাজা উদ্ধার, গ্রেফতার চারজন “
মতামত,
গোপালপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ফরহাদুজ্জামান বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার খাতা সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পলি কাগজে মুড়িয়ে ডাক যোগাযোগ মাধ্যমে পাঠানো লাগে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় যুবক সুব্রত কুমার শুভ বলেন, সরকারি চাকরির আবেদন ও যোগদান পত্র এখনো পর্যন্ত ডাক বিভাগেই দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে ডাক বিভাগের উপজেলা কার্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলে যে কোন সময় অঘটন ঘটতে পারে, এই দায়ভার কে নেবে। সরকারের কাছে আবেদন অতি দ্রুত উপজেলা ডাক বিভাগের বিল্ডিং সংস্কার করে একটি নতুন ভবনের ব্যবস্থা করা হোক।
এবিষয়ে উপজেলার প্রধান ডাকঘর গোপালপুরের পোস্ট মাস্টার ইসমাইল হোসেন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলা অফিসার মেহেদী হাসান বলেন, ডাক বিভাগের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় দপ্তরে আমরা আবেদন করবো এবং দ্রুত এই ভবনটির সংস্কার করার ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব শিক্ষক দিবসে বাগাতিপাড়ার গুণী শিক্ষক স্বপ্না রানী ও আয়েশা আক্তার