মোঃ মাহমুদুল হাবিব রিপন,গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা সদর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিক বলেছেন, দলিল লেখকরা সরকারের রাজস্ব আহরণের অন্যতম বড় অবদানকারী। অথচ আমাদের পেশাকে বিলুপ্ত করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়। আধুনিকায়নের নামে জনগণকে প্রতারিত করা হচ্ছে। যদি দলিল লেখকদের বাদ দেওয়া হয়, সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাবে।
তিনি আরও বলেন, শুধু গাইবান্ধা জেলাতেই গত জুন মাসে দলিল লেখকরা প্রায় ৩৯ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে। সারা দেশে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু ১৯০৮ সালের পুরনো আইনের ভিত্তিতে আমাদের সম্মানী মাত্র ৩৫ থেকে ৭০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এটি একেবারেই অমানবিক। পৃথিবীর সব দেশে সময়ের সাথে সাথে পেশাজীবীদের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু আমাদের ন্যায্য সম্মান এখনও দেওয়া হয়নি।
মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিক অভিযোগ করেন, জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি ও সাক্ষীর মাধ্যমে বর্তমানে দলিল জাল করার কোনো সুযোগ নেই। বরং জালিয়াতির বড় অংশ হয় ডিসি অফিস ও কোর্টের মাধ্যমে। তারপরও দলিল লেখকদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমরা দাবি করছি নিবন্ধন কার্যক্রম অবশ্যই আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা উচিত, দলিল লেখকদের ন্যায্য সম্মানী নির্ধারণ করা হোক এবং এই পেশাকে বিলুপ্ত করার ষড়যন্ত্র বন্ধ করা হোক।
সমিতির নেতারা জানান, বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির মহাসচিব আলহাজ্ব এম এ আব্দুর রশিদ সারা দেশ সফর করে ভঙ্গুর সংগঠনগুলোকে একত্রিত করেছেন এবং দলিল লেখকদের অধিকার আদায়ে নিরলস কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি অসুস্থ, যার দ্রুত আরোগ্য কামনায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
দোয়া মাহফিলটি বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা সদর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ইমাম হাফেজ মাওলানা আমিনুল ইসলাম মোনাজাত পরিচালনা করেন। এতে সদর সাব-রেজিস্ট্রার জনাব নবী আফতাব, প্রধান সহকারী মোঃ আমিনুল ইসলাম, সহকারী আনিসুর রহমান, দলিল লেখক সমিতির অর্থ সম্পাদক আবু তালেবসহ অসংখ্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা মহাসচিবের সুস্থতা কামনা করেন এবং সকল দলিল লেখককে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।