এ জেড সুজন,লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

চোরে শোনে না ধর্মের কাহিনী! বিদ্যুৎ ট্রান্সফরমারের গায়ে আল্লাহর গুণ কীর্তনকারী বিভিন্ন দোয়া খচিত করা এবং খুঁটিতে ওঠার রডের সিঁড়ি তৈরির ফুটা বন্ধ করা সহ গায়ে কাঁটা ওয়ালা গ্রীল লাগানোর পরেও শেষ রক্ষা হলো না!
নাটোরের লালপুর এমন শত চেষ্টা করেও চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার। সম্প্রতি এই উপজেলায় ট্রান্সফরমার চুরির যেন হিড়িক পড়ে গেছে। চুরি ঠৈকাতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। এখানে গেল ছয় মাসে অন্তত ডজনখানেক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগীরা।
উপজেলার রামানন্দরপুর, কচুয়া, বিলশলিয়া সহ বিভিন্ন গ্রামে দফায় দফায় ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার রামানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক মোঃ শফিউল্লাহ জানান বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহায়তায় গবরপুর মৌজায় সেচ প্রকল্পে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে আমার ওই নলকূপ হাউজ সংলগ্ন বিদ্যুতের খুঁটির তিনটি ট্রান্সফারের মধ্যে দুটি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা। তিনি আরো জানান চুরি ঠেকাতে ওইসব ট্রান্সফরমারের গায়ে বিভিন্ন দোয়া কালাম লিখে রেখেছিলাম। এছাড়াও বিদ্যুতের খুঁটিতে লোহার তৈরি কাঁটা এবং খুঁটিতে ওঠতে যেসব ফুটা ব্যবহার হয় সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছি। শুধু তাই নয় প্রতিদিন ওই খুঁটির পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া দরূদ পড়ে আসি। তবুও শেষ রক্ষা হলো না। এঘটনায় লালপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে পরকীয়ায় বাধা দেওয়াই স্ত্রীকে হত্যা
পল্লী বিদ্যুতের লালপুর জোনাল ম্যানেজার রেজাউল করিম ব্যাপারী জানান ট্রান্সফর্মার চুরির ঘটনা এখন আমাদের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। চুরি ঠেকাতে মাইকিং সহ জনসচেতনতা তৈরির জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এছাড়া রাতে পাহারা বসিয়ে সংশ্লিষ্টদের আরো সজাগ হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
লালপুর থানার ওসি (তদন্ত) রিয়াজুল ইসলাম জানান ভুক্তভোগী একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আমরা অপরাধী ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শোভন কুমার হোড় জানান চুরির বিষয়ে আমরা অবগত। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।